জাহিদুল ইসলাম,বরগুনা-
বরগুনার বেতাগী উপজেলার চর বিবিচিনি নামক গ্রামের তরমুজ ও সবজি চাষি শামসুদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক এর প্রায় ৪০ একর জমিতে তরমুজ, বাদাম ও মরিচের চাষ করেছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে দফায় দফায় প্লাবিত হয়ে লোনা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে তার সব ফসল। এতে প্রায় ২৫ লক্ষ্য টাকার ক্ষতি হয়েছে জানান কৃষক আব্দুর রাজ্জাক।
প্রতি বছরের নেয় এবছরও কৃষক আব্দুর রাজ্জাক চাষ করেছিলেন বিভিন্ন প্রজাতির ফসল, কিন্ত জোয়ারের লোনা পানি কেড়ে নিলো আব্দুর রাজ্জাকের হাসি। যে সময় ফসল বিক্রি করার কথা ঠিক তার পূর্ব মুহূর্তে জোয়ারের পানিতে ভেসে নষ্ট হয়ে গেছে সব ফসল । ৪০ একর জমির মধ্যে সামান্য কিছু তরমুজ বিক্রি করতে পারলেও বাদাম ও মরিচ বিক্রির সময় এখনও হয়নি। জোয়ারের পানি আর না আসলেও লবণাক্ততা থাকায় পানি চলে যাওয়ার পর তরমুজ ও সবজি গাছ মরে যায়। পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারে পানির উচ্চতা বাড়ায়। প্রতিদিন চব্বিশ ঘণ্টায় দুবার জোয়ার আসে। প্রতিবার জোয়ারে অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
ফলে ওই চর এলাকায় কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় তিন-চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। কোথাও কোথাও পানির উচ্চতা আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে । এতে তরমুজসহ রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানি লবণাক্ত হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি । ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি চাষ করেছিলেন তরমুজ ও সবজি সবগুলো নষ্ট হয়ে প্রায় পচিশ লক্ষ্য টাকার ক্ষতি হয়, তিনি কীভাবে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন, তার পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে বাচবেন, এমত অবস্থায় তিনি সরকারের কাছে সহযোগিতার দাবী জানান ।
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ইকবাল হোসেন জানান, আব্দুর রাজ্জাকের নষ্ট হওয়া তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করা হয়েছে, এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিকসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়ার জন্য তালিকা তৈরি করেছেন তারা। যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো হবে। কৃষক আব্দুর রাজ্জাক আবার জাতে পুনরায় সচল হয়ে উঠতে পারে সেজন্য কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।।